আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত ও নষ্ট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় উপজেলার আলফাডাঙ্গা-গোপালপুর সড়কের কামারগ্রাম হাওড়ের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রায় পাঁচ শতাধিক লোকজন বিভিন্ন ব্যানার ও প্লেকার্ড নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
সভায় গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আলীম সুজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদার, ইকবাল হোসেন চুন্নু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজা মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তন্ময় উদ্দৌলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ ও কবীর আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা, মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলাদেশের নাগরিক আমরা। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে এক সূত্রেই গাঁথা দেখি। এর যে কোনো একটির অপমানে সংক্ষুব্ধ হই। সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা, মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করা। এসময় বক্তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব খান আমিরুল ইসলাম, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম রানা প্রমুখ বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে আলফাডাঙ্গা-গোপালপুর সড়কের হাওড়ের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত কয়েকটি ফেস্টুন নষ্ট করে দুষ্কৃতকারীরা। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।