চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) রাতে ডায়ালাইসিস প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতায় সেবা বন্ধের এমন নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ। সেই সময় হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন রোগী ও স্বজনরা। তারা সেবা চালু রাখার দাবিও জানান।
‘স্যান্ডর’ সূত্র জানায়, বকেয়া টাকা না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তাদের সেবা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তবে এখন তা প্রত্যাহার করে ডায়ালাইসিস সেবা চালু আছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাত ৯টায় স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ ডায়ালাইসিস সেবা স্থগিত সংক্রান্ত নোটিশ বাতিল করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগের মতো ডায়ালাইসিস সেবা কার্যক্রম চলবে।
স্যান্ডরের অ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ মো. নুরুচ্ছফা বলেন, বুধবার (২২ জুন) রাতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাতে আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছি
গত ১০ জানুয়ারিতে আরও একবার সেবা দেয়া বন্ধ করে ‘স্যান্ডর’। এ সময় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন রোগীর স্বজনরা। এ ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে হুট করে বারবার সেবা বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন সেবা নিতে আসা গরিব রোগীরা।
সরকারের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তিতে ২০১৭ সাল থেকে সেবা দিয়ে আসছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘স্যান্ডর’। যেখানে প্রতি মাসে এক রোগী ৫৩০ টাকায় ৬টি ও দুই হাজার ৯৩৫ টাকায় দুটিসহ মোট আটটি ডায়ালাইসিস করান। এটা করতে বেসরকারি হাসপাতালে দুই তিনগুণ বেশি টাকা দিতে হয়।