আসন্ন কোরবানি ঈদকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে পশুর হাট। এসব হাটে প্রতিনিয়তই দেখা মিলছে নানা আকৃতি ও বাহারি নামের গরু ও ছাগল। এবার সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘মিঠু’ নামের একটি খাসি। ৯৫ কেজি ওজনের মিঠুর দাম হাঁকানো হয়েছে সোয়া লাখ টাকা।
শনিবার রাজবাড়ী পৌর পশু হাটে খাসিটি বিক্রির জন্য তোলা হয়। আকর্ষণীয় জাতের খাসি হওয়ায় মিঠুকে এক নজর দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেকেই। বিশেষ করে হাটে আসা ক্রেতাদের নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল খাসিটি।
জানা গেছে, ‘মিঠু’র মালিক স্কুলছাত্র ওমর মিজানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগমারা এলাকার রফিক সরদারের ছেলে। সে তিন বছর ধরে খাসিটি লালনপালন করেছেন।
ওমর বলেন, আমি শখ করে খাসিটির নাম রেখেছি ‘মিঠু’। সে মিঠু বলে ডাকলেই সাড়া দেয়। খাসিটিকে আমি ভাত, খড়, ভুসি ও ঘাস খাওয়াই। বিক্রির জন্য হাটে তুলেছি। আমার সঙ্গে চাচা ও চাচাত ভাই এসেছেন। দাম চাচ্ছি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকা দাম হয়েছে। এক লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেব।
হাটে আসা দর্শনার্থী রেজাউল বলেন, আমি কখনো এত বড় খাসি দেখিনি। হাটে ঢুকতেই খাসিটি আমার নজর কাড়ে। কাজী রকিবুল হাসান নামের আরেকজন বলেন, বিশাল আকারের খাসিটি দেখতে ছোটখাটো গরুর মতো। আমি জীবনে এত বড় খাসি দেখিনি।
হাটে খাসি কিনতে আসা ক্রেতা মিরাজ শেখ বলেন, আমি কোরবানির জন্য একটি খাসি কিনতে হাটে এসেছি। হাটে বেশ কয়েকটি খাসি দেখলাম। তার মধ্যে মিঠু নামের খাসিটি সবচেয়ে বড়।
হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি জনি বলেন, রাজবাড়ীর হাটে আজকে একটি বড় খাসি উঠেছে। খাসিটির ওজন ৯৫ কেজি হবে। বিক্রেতা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাম চাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খায়ের উদ্দিন বলেন, এ বছর রাজবাড়ীর বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম রয়েছে। রাজবাড়ীতে সাড়ে আট হাজার খামারে ৫৪ হাজার ৫২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছর ১৪ হাজার ৯৮৫টি ষাঁড়, ৩৩ হাজার ১০টি ছাগল, ৬ হাজার ২০০টি গাভী, ৩০টি মহিষ, ৩০০টি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।