হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাকিবুল হককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের অধ্যক্ষ ড.আব্দুল জব্বার মিয়া অবসরে গেলে বিগত ২৯/০৩/২০২৩ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত ২০২১ সনের জনবল কাঠামো এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন করে, সিনিয়র দুইজন শিক্ষককে সম্পুর্ন অন্ধকারে রেখে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী একক ক্ষমতায় সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক রাকিবুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন।
তিনি আগেই বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সিনিয়র এবং যোগ্য শিক্ষক হিসেবেই মো.রাকিবুল হককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
এছাড়া তিনি কলেজের অনান্য শিক্ষক কর্মচারীদের ঈঙ্গিত করে দুর্নীতি এবং নানান অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।
তবে গত ০৮/০৮/২০২৩ তারিখ জাতীয় বিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক তার এক পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মো.রাকিবুল হকের নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। এছাড়া তাকে অপসারণ করে বিধি মোতাবেক সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়েছে।
এদিকে বর্তমান সভাপতি এবারও সিনিয়র দুইজন শিক্ষককে বাদ দিয়ে, পাঁচ জনের মধ্যে জুনিয়র মোস্ট এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ আব্দুল ওয়াদুদ অথবা মো. আব্দুল কালাম দায়িত্ব প্রদানে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া বর্তমান সভাপতির ঘনিষ্ট মোহাম্মদ মুক্তাদির তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে এবং কলেজের সম্পদ লুটপাট করতে হাফেজ কাজী আহমাদুল্লাহ অথবা রিজিয়া বেগমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে আব্দুল ওয়াদুদ অথবা কালাম সাহেব কে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য , ২০২১ সনের শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক জারিকৃত জনবল ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অধ্যক্ষ না থাকলে সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের বিধান রয়েছে।
হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের গভির্নিং বডির সভাপতি সকল আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সিরিয়ালে থাকা তৃতীয় শিক্ষক যিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোন বিষয়েরও শিক্ষক নন তাকে তাকে দায়িত্ব দেন, যা জাতীয় বিস্ববিদ্যালয় অবৈধ বলে অভিহিত করেছে।