নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সমবায় অফিসে কর্মরত কম্পিউটার অপারেটর মো. মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগ উঠেছে।
জেলার নাচোল উপজেলার ডাউনপাড়ার বাসিন্দা মো. অমিত হাসান মিঠুন নামে এক ভুক্তভোগী এই অবৈধ কার্যক্রমের বিষয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কম্পিউটার অপারেটর মো. মুস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত নাচোল উপজেলা সমবায় অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় অডিট সমবায় রেজিস্ট্রেশন করার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি সমবায়ে চাকরীর সুবাদে সরকারি খাস পুকুর দখল করে তার ভাই ও স্বজনদের দিয়ে পরিচালনা করান। এলাকায় সে নিজে ও তার স্বজনদের দিয়ে ভুয়া রেজিষ্ট্রেশন কৃত সমিতি পরিচালনা করে এবং ভুয়া ডিসিআর তৈরি করে প্রতারণা করেন। এসব নিয়ে কথা বলায় অভিযোগকারী অমিত হাসান মিঠুনকে বিভিন্নভাবে নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, এই কম্পিউটার অপারেটর মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তার নামে ভুয়া ডিসিআর তৈরির সরকার বাদী মামলা রয়েছে। নাচল উপজেলা ভুমি অফিসের তহশিলদার মো. আ. রাজ্জাক বাদী হয়ে নাচোল থানায় মামলাটি করেন। মামলা নং-১০, তারিখ- ১৭/০৯/২০২৩। এছাড়াও আরও একটি মামলায় পরোয়ানাভুক্ত পালাতক আসামি সে।
প্রসিকিউশন নং-৭১, তারিখ- ২৩/০৭/২৩ ইং। দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকায় অফিসেও অনুপস্থিত রয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কম্পিউটার অপারেটর মো. মুস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে (০১৭৫০-৩৩৩২৭৮) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মামলার বিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিন্টু রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে। সেই মামলার তদন্ত চলছে।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা সমবায় অফিসার (উপ-পরিচালক)- মো. আকরাম হোসেনকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি একটি জুম মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।