ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলের নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া এমন বর্বরতা ও নৃশংসতার জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন করতে উপযুক্ত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে গাজার আহলি আরাবি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত নিরীহ বেসামরিক নাগরিক প্রধানত নারী ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক কাজ’ এবং ‘মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ’-এর অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া আইডিএফকে ‘দখলকারী বাহিনী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই অপরাধমূলক কাজের অপরাধীদের অবশ্যই তাদের ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহি করতে হবে এবং যুদ্ধের শিকার হিসেবে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের আরো মৃত্যু ও দুর্ভোগ রোধ করতে এই বর্বর যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই নির্মম হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বর্তমানে গাজায় যে যুদ্ধ চালাচ্ছে তা শুধু অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসমই নয়, এটি গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি প্রদান এবং মানবাধিকারের সমস্ত মৌলিক নীতি ও আন্তর্জাতিক নাগরিক চুক্তি ও কনভেনশন লঙ্ঘনের সামিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের নিন্দা এবং জরুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভূখণ্ডে মানবিক প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ফিলিস্তিন প্রশ্নের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া ইউএনএসসি রেজোলিউশন নং ২৪২ ও ৩৩৮-এ পরিকল্পনা অনুসারে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সীমানার ভিত্তিতে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সমর্থন করে।