ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. হামিদ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে হামিদ ঠাকুরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সরাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. হামিদ ঠাকুর (৫৮) জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকার আবদার আলী ঠাকুরের ছেলে।
জানা যায়, মো. হামিদ ঠাকুর বাড়ির পাশেই একটি মুদির দোকানে ব্যবসা করেন। তার প্রাপ্ত বয়স্ক একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু হামিদ ঠাকুর লম্পট প্রকৃতির ছিলেন। তিনি বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরীকে প্রায় সময় কু-নজরে দেখতেন ও নাতি বলে শরীরে হাত দিতেন। গত তিন মাস আগেও হামিদ বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন তখন মান-সম্মানের ভয়ে আইনের আশ্রয় নেননি।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরী বাইরে গেলে হামিদ ঠাকুর টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশে রান্নাঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীর পিতা থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত হামিদ ঠাকুরকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।