ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যখন চরম উত্তেজনা, ঠিক তখনই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলার তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও গার্ডিয়ান।
সিরিয়ায় বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত দুটি অবকাঠামো লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
তবে এ হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
সম্প্রতি সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার জবাব দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পাল্টা হামলার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ওই হামলায় ২১ জন মার্কিন সেনা আহত হন এবং হামলার সময় নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান যুক্তরাষ্ট্রের এক ঠিকাদার।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত চায় না এবং আরও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কোনো ইচ্ছা বা আগ্রহও নেই। তবে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ইরান-সমর্থিত আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য এবং তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সীমিত পরিসরের এই হামলা শুধুমাত্র ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন কর্মীদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।’
তবে এ হামলার সঙ্গে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ৯০০ এবং প্রতিবেশী ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া, এই অঞ্চলে আরও ৯০০ সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।