ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উত্তরার নিজ বাসায় তার রহস্যজনক এ মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন হত্যা, আবার কেউ বলছেন আত্মহত্যা। তবে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নয় বলে মন্তব্য করেছেন ছোট পর্দার আরেক অভিনেত্রী শিউলী শিলা।
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিগো লাইভ নামে একটা অ্যাপে হিমু লাইভ করত। আর সেখানের সাপোর্টার ছিল রুফি। সেখান থেকেই তাদের দুজনের পরিচয়।
তিনি আরও বলেন, হিমু আমাকে (শিউলী শিলা) একবার বলেছিল রুফি তাকে অনেক সাপোর্ট করে। আর সে (রুফি) হিমুকে বিয়ে করতে চায়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগো লাইভ অ্যাপে ওই ছেলের নাম রুফি। এটি তার আসল নাম কি-না সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শিলা প্রশ্ন করে বলেন, রুফি যদি নির্দোষ হয়ে থাকে, তাহলে কেন সে হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে গেছে।
এর আগে অভিনেতা প্রাণ রায় বলেন, উরফি জিয়া নামে হিমুর এক বন্ধু বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তার বাসায় যায়। পরে উরফি জিয়া (বন্ধু), মিহির (মেকআপ আর্টিস্ট) ও ওই বাড়ির দারোয়ান তিনজন মিলে হিমুকে হাসপালাতে নিয়ে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবল দিলে উরফি জিয়া সেখান থেকে চলে যায়। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং হিমুর মোবাইলটাও।
অভিনেতা রওনক হাসান জানান, মেকআপ আর্টিস্ট মিহির ও অভিনেত্রীর বন্ধু তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিনেত্রীর গলায় দাগ থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা নিতে চাইলে অভিনেত্রীর বন্ধু পালিয়ে যান।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসলটা জানা যাবে।
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্যদলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।