নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় আলী আহমেদ (৬৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এনিয়ে মারা গেলেন তিন জন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত একটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আলী আহমেদের শরীরে ৫৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তার স্ত্রী হাসুন বানু ও ১৫ শতাংশ নিয়ে ছেলে ওমর ফারুক ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান তার ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)। আর গতকাল বুধবার রাত ৮টায় মারা যান মেয়ে সাহারা বেগম (২৪)।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রূপগঞ্জের আওকাবো বাজার এলাকায় গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণ থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, হাসুন বানু (৫৫), তার স্বামী আলী আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহারা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।
হাসপাতালে হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকান করেন। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাস থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি যন্ত্র লাগিয়েছেন। রাতে তারা যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তবে ভাগ্যক্রমে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টস কর্মী ফরমুজ (২২) সে সময় বাসায় না থাকায় আগুনের হাত থেকে বেঁচে যান।