উপমহাদেশে চতুর্থবারের মতো পর্দা উঠেছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের। স্বাভাবিকভাবেই এবারের বিশ্বকাপকে ঘিরে বড় স্বপ্নই দেখছিল উপমহাদেশের দেশগুলো। তবে পারফরম্যান্সের বিবেচনায় স্বাগতিক ভারত ও আন্ডারডগ আফগানিস্তান ব্যতীত কেউই সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা মানেরও নিচে।
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নিজ দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান। এ তালিকায় সবার আগে দেশ ছেড়েছে লংকানরা। এরপর ফিরেছে বাকিরা।
এদিকে বিশ্বমঞ্চে ভরাডুবির কারণে একের পর এক পরিবর্তন আসছে ব্যর্থ হওয়া দলগুলোর মধ্যে। যার শুরুটা হয়েছে বাংলাদেশের হাত ধরে। বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজ দেশের বিমান ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান টাইগার বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তারপর পাকিস্তানের পেস বোলিং কোচ মরনে মরকেলও দায়িত্ব ছেড়েছেন। এছাড়া বড় পরিবর্তনের জোরালো গুঞ্জন আছে ইংল্যান্ড দলেও। আর নিজেদের ক্রিকেট বোর্ডেই বড় পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া অঞ্চলে খেলা হওয়া এবারের আসরের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। পেস ইউনিট নিয়েও বড় বড় বাণী শুনিয়েছিলো টাইগার ম্যানেজমেন্ট। তবে হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেননি তাসকিন-শরিফুলরা। এমনকি এখন পর্যন্ত আসরেরর সবচেয়ে খারাপ বোলিং অ্যাভারেজ বাংলাদেশেরই।
বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ৯ ইনিংসে ২০৯ ওভারে ৫০.৯২ অ্যাভারেজে ২৬ উইকেট নিয়েছে টাইগার বোলাররা। তাই নতুন করে বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি, শঙ্কা আছে রঙ্গানা হেরাথকে নিয়েও।
বাংলাদেশের মতো পেস ইউনিট নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছিল পাকিস্তানও। বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার প্রত্যাশা ছিলো তাদের। তবে ফলটা মোটেও সুখকর হয়নি। রউফ-শাহিনদের পাফরম্যান্সও ছিলো যাচ্ছেতাই। এখন পর্যন্ত আসরের সবচেয়ে খরুচে বোলার হওয়ার তকমা আছে হারিস রউফের দখলে।
এছাড়া আসরে ৫৩৩ রান দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার লজ্জার রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে ৫২৬ রান দিয়ে এই লজ্জার রেকর্ড ছিলো ইংল্যান্ডের আদিল রশিদের দখলে।
আসর শুরুর আগে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলো অন্য দলের ব্যাটাররা। তবে তাদের এমন পারফরম্যান্সের পর সমালোচনা মেতেছে দেশের সাবেকরা। কটাক্ষ করছেন ভারতীয়রাও। এতো সমালোচনার পর চুক্তির মেয়াদ থাকা স্বত্তেও দায়িত্ব ছেড়েছেন মরনে মরকেল।
তবে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা শিকার হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে তাদের এমন ভরাডুবি কিছুতেই মানতে পারছেন না দেশটির সাবেকরা। সবার দাবি একটাই, বড় পরিবর্তন আনা হোক কোচিং স্টাফে। এমনকি জস বাটলারের অধিনায়কত্ব সরানোর দাবি করছেন অনেকেই। খুব শিগগিরই বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে কোচিং প্যানেলসহ ম্যানজমেন্টে।
সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে শ্রীলংকায়। ব্যর্থতার পর দায়িত্ব ছেড়ে ছিলেন সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা। এছাড়া বিশ্বকাপের মাঝেই লংকান কোচিং স্টাফরা সমালোচনার মুখে পড়েন।