অবশেষে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা বন্ধের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ফলে অন্তত চার দিনের জন্য গাজাবাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাবে।
তবে বিরতি শেষে গাজা উপত্যকায় ফের ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিযান শুরু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও কখন থেকে এটি শুরু হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির সরকার সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। তাতে আরও বলা হয়েছে, সরকার লক্ষ্য অর্জনের একটি রূপরেখা অনুমোদন করেছে এবং সেই অনুযায়ী নারী ও শিশুদের সমন্বয়ে আগামী চারদিনে মুক্তি পাবে অন্তত ৫০ জিম্মি। এ সময় যুদ্ধে বিরতি দেওয়া হবে।
পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার বলেছে, এর বাইরে অতিরিক্ত প্রতি ১০ জিম্মির মুক্তির জন্য একদিন করে যুদ্ধবিরতি থাকবে। এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল সরকার, আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সব জিম্মিকে মুক্ত করতে, হামাস নির্মূলে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের প্রতি নতুন কোনো হুমকি আসবে না- এমনটা নিশ্চিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
ইসরায়েলের পর ওই চুক্তির বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। সেখানে তারা বলেছে, ৫০ জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক দেড়শ’ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু মুক্তি পাবে।