দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশের মোট জনসংখ্যা হয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
এর আগে, সংস্থাটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয়। পরবর্তীতে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যাচাই-বাছাই করে আরও একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ০০৩ জন আর নারী রয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন। দেশে ভাসমান জনসংখ্যা ২২ হাজার ১৮৫ জন।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে ১১ বছরে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন রয়েছে।
জনসংখ্যার ঘনত্ব-
দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৭৬ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জনে। কাজে নিয়োজিত রয়েছে মোট জনসংখ্যার ৩৭.২১ শতাংশ, কাজ খুঁজছে ১.৬৫ শতাংশ, কাজ করে না ২৯.৩২ শতাংশ।
বাড়ি ঘর-
দেশে কাঁচা ঘর ৬৬.১৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৫৮.৭৮ শতাংশে। আর পাকা ঘর ১১.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২.৪৬ শতাংশ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
আর গ্রামে বসবাস করেন দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬০ লাখ। অন্যদিকে শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ। এছাড়া ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন করে বসবাস করলেও ২০২২ সালে এসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ১১৯ জন করে বসবাস করছেন।
এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১। চলতি বছর জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত পরিসংখ্যানে যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। ২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন।