রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ফিরে দেখা ২০২৩: উন্নয়নে দৃষ্টি কেড়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৬২ বার পঠিত

২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলা নিয়ে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের বিগত বছরগুলোয় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এই বিভাগের। আর বিভাগ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে শুরু হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নের আরো বেশি প্রতিযোগিতা। যা এখনো চলছে।

ময়মনসিংহ:

বর্তমান সরকারের বিগত বছরগুলোয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন। পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীতকরণ, শিক্ষাবোর্ড স্থাপন, পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ খননসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ হয়েছে।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে এরইমধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের নানা কাজ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। ‘সিটি কর্পোরেশনের সড়ক যোগাযোগ ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ’ এই প্রকল্পে বরাদ্দের ১৫৭৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫৬৩ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।

গত ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। হাইওয়ে সড়কের প্রবেশপথসহ নগরীতে সরকারের ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮৫ কিলোমিটার সড়কে নৌকার আদলে আধুনিক এলইডি বাতি স্থাপন করে নগরবাসীর নজর কেড়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

ময়মনসিংহে উন্নয়নের আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে দেশের প্রথম আর্চ স্টিল সেতু। ২০১৮ সালে নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড় থেকেই শুরু হয়েছে মূল সেতুর সংযোগ সড়ক, যা হবে সেতুর অপর প্রান্ত চায়না মোড় পর্যন্ত ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। সংযোগ সড়ক মূল সেতুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগেই পড়বে ২৫০ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস। এরপরই সংযোগ সড়ক মিলবে ৩২০ মিটার দীর্ঘ মূল আর্চ স্টিল সেতুর সঙ্গে।

সেতুতে ২০২ মিটার র‌্যাম্পসহ ভারী যান চলাচলের জন্য চার লেন এবং মোটরসাইকেল ও হালকা যান চলাচলের জন্য দুই লেনসহ মোট ছয়টি লেন থাকবে। নদীর ওপর কোনো পিলার ছাড়াই শুধু দু’পাড়ের দুটি পিলারের ওপর তৈরি হবে সেতুটি। ৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। এটি যানজট নিরসনের পাশাপাশি ময়মনসিংহ ও আশপাশের জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা একসময় অনুন্নত এবং আতঙ্কের ছিল। ডাকাতের উপজেলা হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি ছিল। তবে সেই নাম ধীরে ধীরে মুছতে শুরু করেছে। এর কারণও উন্নয়নের ছোঁয়া। ২৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালুকা-গফরগাঁও-কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর ৩০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক, ১৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গফরগাঁও-বরমী-মাওনা ২৪ কিলোমিটার সড়ক ও ১২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান।

ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণ গফরগাঁওকে পাশের নান্দাইল উপজেলা, গাজীপুরের কাপাসিয়া এবং কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাকে সরাসরি যুক্ত করায় এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। রাজধানী ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জকে সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্কে এনেছে এই সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন। এসবের বাইরে মডেল মসজিদ নির্মাণ, মা ও শিশুকল্যাণ হাসপাতাল নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, গৃহহীন এবং ভূমিহীনদের আবাসন, নদী ও খাল খনন, বেড়িবাঁধ, উপজেলাজুড়ে ব্যাপকভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন, গোটা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়নও দৃশ্যমান। গফরগাঁওয়ের মতো জেলার সবগুলো উপজেলা উন্নয়নের ব্যাপক ছোঁয়া পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের বেহাল সড়কগুলো পাকা করে বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি কেড়েছে।

জামালপুর:

জামালপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র দয়াময়ী এলাকায় প্রায় ৮ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী ও নগর স্থাপত্য’। স্থানীয় সরকার অধিদফতরের অধীনে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রায় ২২৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে- সুউচ্চ শহিদ মিনার, রিক্রিয়েশন প্লাজা, আন্ডারগ্রাইন্ড মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক জাদুঘর, অ্যাম্ফিথিয়েটার, লেক, ওয়াকওয়ে, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বোট ক্লাব, বসার জায়গা, ভাসমান রেস্তরাঁ, ৯তলা বিশিষ্ট কালচারাল হাব, ৭তলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন, মুক্তমঞ্চ ও ফুটব্রিজ। এছাড়াও থাকবে জলাধারের চারদিকে নান্দনিক দৃশ্য, ৪২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একটি ফেরিজ হুইল। আকাশপথে বিমানের যাত্রীরাও যেটা অবলোকন করে মুগ্ধ হবেন।

জেলার ইসলামপুর উপজেলায় ইসলামপুর হেড কোয়ার্টার থেকে গুঠাইল জিসি প্রায় ৮ হাজার ৭৬০ মিটার রাস্তার কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে গুঠাইলবাসীর দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হয়েছে। একইসঙ্গে যমুনা নদীর তীরবর্তী হওয়ার কারণে বর্তমানে এটি যমুনার গুঠাইল ঘাটে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

মেলান্দহ উপজেলার মহিরামকুল আরএইচডি থেকে হাজীপুর জিসি ভায়া ঝাউগড়া বাজারের ১১ হাজার ৭৫০ মিটার রাস্তা মেরামতের কাজটিও এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। ঐ রাস্তাটি মেরামতের ফলে খুব সহজেই মেলান্দহ উপজেলার সঙ্গে মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদর উপজেলার যাতায়াতের পথ সুগম হয়েছে। ইসলামপুর, মেলান্দহ উপজেলা ছাড়াও সবগুলো উপজেলায় বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে পাকা সড়কের মাধ্যমে সব গ্রামকে জামালপুর জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শেরপুর:

শেরপুরে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু খাতে বৈপ্লবিক ও নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে জেলায় সওজ, এলজিইডি, জেলা পরিষদ ও চারটি পৌরসভার অধীনেই খরচ হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। ঐসব প্রকল্পের মধ্যে ২৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৮.৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নকলা-নালিতাবাড়ী-নাকুগাও স্থলবন্দর সড়ক ২ লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে। একই সময়ে ৮১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সীমান্ত সড়কের শেরপুর অংশে প্রশস্ত করা হয়েছে। ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০.১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে শেরপুর-নকলা-ফুলপুর-ময়মনসিংহ সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার দুটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২.৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে শেরপুর-শ্রীবরদী-বকশীগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নালিতাবাড়ী-পাপিয়াঝুড়ি সড়ক উন্নয়ন, ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নকলা-শিববাড়ী সড়ক উন্নয়ন, নকলা-সীমান্ত সড়কের ভোগাই নদীর ওপর ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮৬ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগাই সেতু ও ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৭ মিটার দৈর্ঘ্যের বগাডুবি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

জেলাটির সব উপজেলায় সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নজরকাড়া উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন সবাই। এখন সীমান্তের মহাল থেকে আহরিত বালু ও পাথর সহজেই সীমান্তের পথ ধরে পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে। এতে বেড়েছে স্থানীয়ভাবে খেটে খাওয়া মানুষের কর্মসংস্থান।

নেত্রকোণা:

নেত্রকোণা জেলায় এ সরকারের আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে। এরমধ্যে অনেক কাজ এখনো চলমান। পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ থেকে দুর্গাপুরের বিরিশিরি পর্যন্ত এরইমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক। জেলা সদরের সঙ্গে হাওড়দ্বীপ খালিয়াজুরী উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মদন উপজেলার উচিতপুর থেকে খালিয়াজুরীর রসুলপুর পর্যন্ত ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সাব-মার্সিবল সড়ক।

এদিকে, নেত্রকোণার রেল যোগাযোগেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এখানকার রেলপথ যেন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। রাজধানীর কমলাপুর থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত চালু হয়েছে ‘হাওড় এক্সপ্রেস’ ও ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন। এছাড়াও কমলাপুর-মোহনগঞ্জ এবং কমলাপুর-পূর্বধলা রুটে চালু হয়েছে ‘মহুয়া’ ও ‘বলাকা’ নামে আরো দুটি কমিউটার ট্রেন। একইসঙ্গে আধুনিকায়ন করা হয়েছে প্রতিটি রেলস্টেশন ও রেলপথ।

বর্তমান সরকারের আমলেই সদর উপজেলার চল্লিশা এলাকায় হেনা ইসলাম কলেজ ও মোহনগঞ্জ উপজেলার হাওড়াঞ্চল খ্যাত আদর্শ নগর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় শহিদ স্মৃতি কলেজ। এরইমধ্যে এ কলেজটি এমপিওভুক্তও করা হয়েছে। জেলার প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত নেত্রকোণা সরকারি কলেজের দ্বিতল প্রশাসনিক ভবনটিকে পাঁচতলায়, তিনতলা বিশিষ্ট কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনটিকে পাঁচতলায় এবং দ্বিতল বিজ্ঞান ভবনটিকে পাঁচতলায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে ছয়তলা বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস-২।

১২ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের পারলা এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে ছয়তলা বিশিষ্ট সমাজসেবা ভবন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মদন উপজেলার উচিতপুর হাওড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে উচিতপুর পর্যটন কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর উদ্যোগে জমি বন্দোবস্তসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে ১০ উপজেলার ১ হাজার ৮৮৫টি গৃহহীন পরিবারকে।

খালিয়াজুরী ও বারহাট্টা ছাড়া বাকি ছয় উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরের ইসলামপুর এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে চারতলা বিশিষ্ট ডায়াবেটিক হাসপাতাল।

মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী এবং বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য কয়েকটি নতুন ভবন এবং সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে ২৪৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক।

এ জেলায় দৃশ্যমান আরো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- জেলা শহরের কাইলাটি রোডে নির্মিত নতুন কারাগার, বনোয়াপাড়া এলাকায় কৃষি আবহাওয়া অফিস, ঋষিপাড়া এলাকায় পাসপোর্ট অফিস, রাজুরবাজারে ফলিত পুষ্টি গবেষণা কেন্দ্র ও হাঁসের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র, চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নতুন হোস্টেল, পাঁচ উপজেলায় নতুন খাদ্যগুদাম, সব উপজেলায় সার্ভার স্টেশন, মোহনগঞ্জের আদর্শনগর, পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ ও কেন্দুয়ার পেমুই এলাকায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন, পুলিশের বারহাট্টা সার্কেলের অফিস ভবন, সদরে পুলিশ ফাঁড়ির ভবন, বারহাট্টা থানা ভবন, জেলা সদরে এনএসআই ভবন, আনসার ব্যাটালিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ, দশ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মোহনগঞ্জে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, বারহাট্টা, পূর্বধলা, মোহনগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রি ভবন, কলমাকান্দায় উপজেলা পরিষদ ভবন, মদন, দুর্গাপুর, কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রভৃতি। এছাড়াও দশ উপজেলায় মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ।

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিভিন্ন সেতু ও সড়ক নির্মাণসহ উন্নয়ন কাজের ফলে মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। অনেক কাজ এখনো চলমান রয়েছে। ৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুল কাঙ্ক্ষিত আর্চ স্টিল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এই সেতুটির কাজ শেষ হলে ব্যাপক সুবিধা পাবে মানুষ। এটির কারণে যানজট নিরসনের পাশাপাশি ময়মনসিংহ ও আশপাশের জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com