ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে আদালতে ধাক্কা নুসরাত জাহানের। ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফ্লাট দেয়নি। সেই কেসে আলিপুর আদালত তাকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। তাকে আলিপুর পুলিস কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল অন্তত একটি হিয়ারিংয়ে উপস্থিত থেকে বন্ড জমা দিতে হবে। এই হিয়ারিংকে চ্যালেঞ্জ করে নুসরাত আলিপুর জর্জ কোর্টের শরণাপন্ন হয়।
নুসরাত আদালতের কাছে জানান, তিনি হাজিরা দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে আলিপুর জজ কোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়া হয়। সোমবার নুসরাত জাহানকে আগামি হিয়ারিংয়ে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে এবং নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকবে। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের বিচারক জানিয়ে দেন, মামলার শুনানিতে কয়েকদিন নুসরাতকে হাজিরা দিতেই হবে। এর আগে আলিপুর আদালতে সাংসদের আবেদন ছিল, তিনি সশরীরে আসতে পারবেন না, আইনজীবী মারফত সমস্ত নথি পাঠাবেন। তা যেন গ্রহণ করে আদালত। কিন্তু তা খারিজ হয়।
এই ফ্ল্যাট দুর্নীতি নিয়ে এক বছর আগে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডিও তলব করেছিল নুসরাতকে। এবার এই মামলার শুরুতে অন্তত একবার এসে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশে কোনো ভুল নেই, জানিয়ে দিল আলিপুর জজ কোর্ট।
প্রায় ১০ বছর আগের প্রতারণা মামলায় নাম উঠে আসে নুসরাতের। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীদের যে সংগঠন রয়েছে, তাদের সঙ্গে সিক্সথ সেন্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার নামের একটি সংস্থার চুক্তি হয়। ব্যাংকের প্রাক্তন এবং বর্তমান মিলিয়ে মোট ৪২৯ জন কর্মীকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়। ঠিক হয়, ওই টাকার বিনিময়ে ব্যাংকে প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীরা ফ্ল্যাট পাবেন। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, তাদের জমা দেওয়া টাকা দিয়ে পাম অ্যাভিনিউয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়। অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটটি কেনেন নুসরাতই।