জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে পাস হওয়া প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
সোমবার (২৫ মার্চ) গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিন নিরাপত্তা পরিষদের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও শর্তহীনভাবে সব জিম্মির মুক্তির আহ্বান জানানো একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। অতীতে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে ভেটো দিলেও এবার ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে প্রস্তাবটি পাস হয়। পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪টি রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু ইসরায়েল তা যেন মেনে চলে, সেটি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন কীভাবে কাজ করবে তা এখন গুরুত্বপূর্ণ।
বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চলে আসা নির্মম নির্যাতন, গণহত্যা, ভূমিদখলসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, এই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং যোদ্ধারা ২৫৩জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে। জবাবে ওই দিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। যা ষষ্ঠ মাসেও চলমান রয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা হালনাগাদ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৩৩৩ জন। আরো কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের দোরগোড়ায় রয়েছেন। গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বাড়ানোর অনুমতি দিতে ইসরায়েলের ওপর বৈশ্বিক চাপ বাড়ছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইয়েমেনি দূত আব্দুল্লাহ আলি ফাদেল আল-সাদি বলেছেন, আরব গ্রুপ প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে কেবল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির সুযোগ বৃদ্ধি করবে।
সৌদি আরবও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র রমজান মাসে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় সৌদি আরব। যা একটি স্থায়ী ও টেকসই যুদ্ধবিরতি ও সব জিম্মির মুক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স