অভ্র বড়ুয়া ঃ ছাত্র জীবনে আমরা এমন কিছু মানুষের সংস্পর্ষে আসি যাঁদের উপস্থিতি আমাদের সফলতার গল্পে সমর্থনের স্তম্ভ হিসাবে ভূমিকা পালন করে। তাঁরাই আমাদের জীবনের আসল বীর।তেমনিই একজন শীতল ম্যাম, একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব যার পাঠদানের প্রতি নিবেদন এবং আবেগ অগণিত শিক্ষার্থীর পথকে আলোকিত করে।পাহাড়ের মানুষ তো,তাই বোধহয় মনটাও উদার ও নি:স্বার্থ।তিনি আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসায় শিক্ষা পড়ান।আমি নিজে একজন ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র না হওয়া সত্ত্বেও, বিশেষ কারণবশত আমাকে ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়টি বেছে নিতে হয়।কিন্তু ম্যাম এর ভিন্নধর্মী পাঠদানের পদ্ধতি আমাকে সত্যি মুগ্ধ করে।ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়টিও আমার কাছে খুব সহজ ও বোধগম্য হয়ে যায়।
শীতল ম্যাম সহানুভূতি এবং নিঃস্বার্থতার প্রতীক।তিনি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেন, অতিরিক্ত ক্লাস এবং সহায়তা প্রদান তো আছেই।আমার এখনো মনে আছে বেশ কয়েকমাস আগে তিনি আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন,হঠাৎওনার তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।আমরা বললাম আমরা পরে পরীক্ষা দেব।না উনি এত অসুস্থতার মধ্যেও আমাদের পরীক্ষা নিয়ে,মূল্যায়ন করে তারপর তিনি ছুটি নেন।কত নিবেদিত প্রাণ একজন শিক্ষক তিনি,তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর উদারতা, অভিজ্ঞতা, কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অকৃত্রিম ভালবাসা চোখে পড়ার মতো।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যাম আমাদের আত্মবিশ্বাস ও নির্ভরতার প্রতীক। এখনকার যুগে অনেকে শিক্ষকতাকে নিছক একটি পেশা হিসেবে দেখেন, কিন্তু শীতল ম্যাম অনেকটা আলাদা।তাকে দেখলে আমি এই উপলব্ধি করি যে সত্যিকারের নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকেরা শুধুমাত্র অর্থের জন্য শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন না।তাঁরা ভালোবাসার তাগিদ থেকে বেছে নেন। শীতল ম্যামের মতো একজন শিক্ষকের সান্নিধ্য পরম পাওয়া আমার জীবনে। তিনি একজন শিক্ষকের চেয়েও বেশি কিছু; তিনি একজন সৎ পরামর্শদাতা এবং অটল সমর্থনের উৎস। ভালো থাকুক আমার শিক্ষক,আমাদের জীবনের পথপ্রর্দশক।