গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বশুর বাদশা গাজীকে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছেন মেয়ের জামাই। এ ঘটনায় জামাই মুরাদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চর ধলইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিহত শ্বশুর বাদশা গাজীর বাগি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চর ধলইতলা গ্রামে। জামাই মুরাদ আলীর বাড়ি নড়াইল জেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান।
জানা যায়, নিহত বাদশা গাজীর মেয়ে তানিয়া বেগম ধলইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। স্ত্রীর চাকরির সুবাদে জামাই মুরাদ আলী শ্বশুর বাড়িতেই থাকতো। বৃহস্পতিবার জামাই মুরাদ আলী তার দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি নড়াইলে যান। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নড়াইলের বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা বটি দিয়ে ঘুমন্ত শ্বশুরকে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন মুরাদ। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এলাকার অনেক মানুষ এবং মুরাদকে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ এসে মুরাদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫ শয্যাবিশিষ্ট জেনালের হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি মো. আনিচুর রহমান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।