ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনের পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে সাতজন নারী, দুইজন শিশু ও চারজন পুরুষ রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০), তার স্ত্রী সুমি (৩০) ও দুই ছেলে আবু রায়হান (৬), আবু সিনান রুহান (৫)। একই গ্রামের ওহাব মোল্যার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০)।
অন্যরা হলেন- আলফাডাঙ্গার মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া (২৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের সূর্য (৬০), কুসুমদি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), চরবাইল গ্রামের রশিদ খানের ছেলে তবিবুর রহমান (৬০) ও হিদাডাঙ্গা গ্রামের আমীর আলীর স্ত্রী কোহিনুর (৫৫)। এছাড়া নিহত রাকিবুলের বোন খুরিয়া বেগম (৭০) দুর্ঘটনায় আহত হন।
নিহত রাকিবুলের ফুফাতো ভাই মকিবুল ইসলাম জানান, ত্রাণের টিন নিতে আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে তারা পিকআপে করে ফরিদপুর সদরে আসছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নারীসহ ১১ জন নিহত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’জন মারা যান।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, পিকআপটি উল্টো লেনে চলে আসার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া নিহত প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে।