দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার। তবে শুক্রবার পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে।
আব্দুর রহমান খান আরো বলেন, রাজশাহী যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এলাকায় আরো দুই-একদিন পর বৃষ্টি হবে। ৩ থেকে ৪ মে’র পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে। তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে। তবে ৫ থেকে ৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়বে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে এখন অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আর দেশের অন্যান্য এলাকার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ।
প্রসঙ্গত, বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।