বাংলাদেশসহ এশিয়াজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আগামীতে তা আরো শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশসহ এশিয়াজুড়ে আঘাত হানা তাপপ্রবাহ আরো প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ঐ গবেষণার ফলাফলকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল শুক্রবার দেশের চারটি বিভাগ- ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনায় তাপপ্রবাহের বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন থেকে চারদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পর্যবেক্ষণের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৬টির অধিবাসীরা তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকাকে তা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হিসাব মিলিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে অনেক মানুষ পানিশূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরে ভারসাম্যহীনতা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। গত এপ্রিলের মতো চলতি মে মাসেও বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনে তাপপ্রবাহ চলছে। এসব দেশের কৃষিকাজ থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে। বিশ্বের ধান উৎপাদনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র এ অঞ্চলের কৃষিব্যবস্থায় এই তাপপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সেচের পানির অভাব, পোকামাকড়ের উৎপাত বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কৃষি মজুরি বেড়ে গেছে।