মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

উত্তরা জুড়ে আ.লীগের অবস্থান কর্মসূচি

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৩০ বার পঠিত

মাসুদ পারভেজ (উত্তরা)ঃ সোমবার সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তরা জুড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি দেখা দেখা যায়। এসময় “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন”মেধা তালিকায় কোটা সংস্কার দাবিতে কয়েক জন শিক্ষার্থী বিএনএস সেন্টার স্কয়ার ভবনের গলি দিয়ে মূল সড়কে এসে তাদের দাবি আদায়ের পক্ষে শ্লোগান উঠালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ এসে তাদেরকে পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কারফিউ শিথিলের মধ্যে ও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিমানবন্দর মহাসড়ক আজমপুর ও উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।এসময় তারা আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের উপর ও নিচের সড়কে দীর্ঘ সময় কঠোর অবস্থান ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা খালপাড় এলাকা, জমজম টাওয়ার,আব্দুল্লাহপুর চৌরাস্তা, হাউজ বিল্ডিং, বিএনএস সেন্টার,আজমপুর, রাজলক্ষি ও বিমানবন্দর এলাকায় মহাসড়কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ,আনসার সদস্য ও র‍্যাব বাহিনী মিলে উত্তরাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেন।

অন্যদিকে সহিংসতা ও নাশকতায় জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব হাসানের নেতৃত্বে আজমপুর আমির কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয় সম্পাদক এস এম তোফাজ্জল হোসেন, সদস্য শেখ আব্দুল ওয়াসেক,সাঈদ সিদ্দিক কাকা, রবিউল ইসলাম রবি।

 

আরো ছিলেন পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আলাউদ্দিন সোহেল,ডিএনসিসি-র ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডি এম শামীম, ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন,কফিল উদ্দিন মেম্বার,সাবেক সফল মেম্বার ইব্রাহিম গণি, আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম ও তুরাগ থানার কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্তমান ৫২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাজেদুল ইসলাম সহ আওয়ামী যুবলীগ নেতা রুস্তম,পাপন এবং ছাত্রলীগ নেতা কর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নেতাকর্মী। এ সময় তারা শেখ হাসিনা- শেখ হাসিনা,নৌকা- নৌকা,হাবিব ভাই- হাবিব ভাই বলে স্লোগান দিয়ে আজমপুর আমির কমপ্লেক্স এলাকা মাতিয়ে তোলেন।

অপরদিকে, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ খসরু চৌধুরীর নেতৃত্বে আজমপুর মেইন সড়কে পূর্ব পাশে ডেসকো অফিসের সামনে দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুদূজ্জান মিঠু, খায়রুল আলম লিটন, মিনারা সুলতানা ছাড়াও শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ডিএনসিসির ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খানও ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবরাজের নেতৃত্বে উত্তরা হাউজবিল্ডিং বিএনএস সেন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় তাদের সাথে উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী,যুবলীগ নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ও উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা, নৌকা নৌকা বলে স্লোগান দিয়ে এলাকা গরম করে ফেলেন।

বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম-র নেতৃত্বেও নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিলো।

মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে চলমান সংঘাত- সহিংসতায় কারফিউ শিথিল ও সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে। অফিস আদালত ও যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

অন্যদিকে সারাদেশে গত কয়েক দিন যাবত ব্লক রেইড- এর মাধ্যমে পুলিশের অভিযান ও গ্রেফতার আতংকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উত্তরাবাসী।

পুলিশের এহেন কর্মকান্ডের ফলে ধীরে ধীরে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরেঅর্থ যোগান দাতা ও নাশকতার নির্দেশদাতাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য উত্তরা জুড়ে চলছে পুলিশের ব্লক রেইড গ্রেফতার অভিযান।
গত কয়েক দিনের অভিযানে উত্তরার বিভিন্ন থানায় কয়েক’শ ব্যাক্তি গ্রেফতার হয়েছে।

নিরীহ মানুষকে আটক ও হয়রানীর বিষয়ে জানতে চাইলে থানা-পুলিশ জানান, নাশকতার সাথে জড়িত নন এমন লোকদের হয়রানি করা হচ্চেনা।সন্দেহ ভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।সু-নির্দিষ্ট তথ্য এবং অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা অভিযান চালাচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযানের নামে পুলিশ দলবেঁধে বাড়ী বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। এতে সাধারণ মানুষের নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।সন্তানের চিন্তায় রাতে তাদের ঘুম আসে না, কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, সোর্স ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনী নামে-বেনামে মনগড়া ভাবে নিরীহ মানুষকে থানায় নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বয়স্ক এক লোক বলেন, এখনতো কোন কারণ লাগে না বাবা, চিন্তা করি রাতে কখন আবার পুলিশ বাড়িতে চলে আসে, তারা আসলে দরজা খুলতে হবে , দেরী হলে তারা রাগা রাগী করবে।

আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের অভিযানের নামে হয়রানির কারণে এখানকার মানুষের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় মামলার আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com