সিটিজেন প্রতিবেদকঃসাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে গুলশান-১ এর ১২৩ নম্বর রোডের এম অ্যান্ড জে গ্রুপের কর্ণধার সালাউদ্দিন আহমেদের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে আসা সাবেক এই এমপিকে মধ্যরাতে এক ব্যবসায়ীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গত বারের আগের মেয়াদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
সরকার পতনের পর গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও মামলার মধ্যে এবার সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করা হল।
রাত দেড়টার পরে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, গুলশানে ১ নম্বর রোডে এম অ্যান্ড জে গ্রুপের কর্ণধার সালাউদ্দিন আহমেদের বাসা থেকে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, রংপুরের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক স্বর্ণকারিগর নিহতের ঘটনায় মামলা হয়।
ওই মামলায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার। পরে আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলায় শিরীন শারমিন চৌধুরী ও টিপু মুনশি ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে আসামি করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণ আন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। দলটির অধিকাংশ নেতা চলে যান আত্মগোপনে।
আত্মগোপনে থাকা সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গত কয়েক দিনে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন টিপু মুনশিও।
২০২৪ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে রংপুর-৪ আসন থেকে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি।
২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হলেও দ্রব্যমূল্য নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা টিপু মুনশির মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি।