উত্তরা সংবাদ দাতা : উত্তরার দক্ষিণখান কাওলা জামে মসজিদ রোডে অবস্থিত নর্দান ইউনিভার্সিটিতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লুৎফর রহমান সানি ও বোরহান উদ্দিন নামে ২ জনকে আটক করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছুটে আসে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আশার খবর পেয়ে বাকী দূর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আটককৃত দুই জনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯:৩০ মিনিটের সময় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ডকে বেদম মারধর করে ২০-৩০ জনের একদল দূর্বৃত্ত দেশীয় অস্রহাতে জোরপূর্বক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
এতে সিকিউরিটি ইনচার্জ রাহাত,হাবিব,মনির,বিল্লাল সহ ৬/৭ গুরুতর আহত হয়েছে। জানা যায়, আহতরা প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে হামলা ও ভাংচুর বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সিনিয়র সহকারী পরিচালক লিগ্যাল এন্ড ল্যান্ড মোঃ সাইফুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময় আনুঃ ৯.৩০ মিনিটের সময়
দূর্বৃত্তরা জোরপূর্বক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, ক্যাশ কাউন্টার, এ্যাডমিশন রুমসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে ব্যপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, লুৎফর রহমান সানি ও বোরহান উদ্দিন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র- জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগের মামলা রয়েছে। এছাড়াও এরা দুইজন এর আগেও একবার জোরপূর্বক এ বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন।
নর্দান ইউনিভার্সিটি এটি
বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।এটি বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণখান অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, বস্ত্র প্রকৌশল, ব্যবসা প্রশাসন, আইন, ফার্মেসি,ইংরেজি,বাংলা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রদান করা হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাংচুর ঘটনায় আটককৃত ব্যাক্তিদের বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন,তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।