শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ, হাতের কাছে সহজ বিকল্প নেই

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও ব্যবহার বন্ধের লক্ষণ নেই। সহজ বিকল্প না থাকায় পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রির কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাট বা কাপড়ের ব্যাগের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলেও পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেশি। এদিকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।

শনিবার (২ নভেম্বর) সরেজমিন রাজধানীর মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট সংগলগ্ন বাজার ও মগবাজার এলাকার অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে পলিথিন ব্যবহারের চিত্র। বাজারের কোথাও ক্রেতা-বিক্রেতার হাতে দেখা যায়নি পাটের ব্যাগ কিংবা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। ক্রেতাদের হাতে হাতে দেখা গেছে ৩ থেকে ৪টি মালামাল নেওয়া পলিথিনের ব্যাগ।

বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে জানান, পলিথিনের বিকল্প অন্য কোনো ব্যাগ আমরা পাচ্ছি না, কীভাবে দেব। যার ফলে নিরুপায় হয়ে পলিথিনেই করেই মাল দিচ্ছি। কাস্টমাররা যদি ব্যাগ নিয়ে আসেন আমরা ব্যাগেই দেবো। কিন্ত কোনো কাস্টমারকে পাটের ব্যাগ আনতে দেখিনি।

মালিবাগ রেলগেট সংগলগ্ন বাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হয়েছে এটা জানি না। শুনলাম এক মাস সময় বাড়াইছে। আমাদের দৈনিক ২০০ টাকার পলিথিন লাগে। এর বিপরীত কোথাও থেকে যে পাঠের ব্যাগ কিনব সেই ব্যবস্থাতো নেই। ব্যাগ পেলে দোকানে দোকানে ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখতাম।

আরেক দোকানী সজিব হাওলাদার বলেন, এত এত পলিথিনের বিপরীতে ব্যাগ কীভাবে পাবো। বাজারে খুব কম মানুষ ব্যাগ নিয়ে আসে। যারা ব্যাগ আনে সেটাও পলিথিনের মতো। সরকার যদি সূলভ মূল্যে ছোট বড় ব্যাগ দেয়, তাহলে মানুষ কিনবে।

মালিবাগ সুপার মার্কেট সংলগ্ন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আসাদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, একটা সময় পাটের ব্যাগই ব্যবহার করতাম। গামছায় বেঁধেও মালামাল নিয়েছি বাসায়। এখনতো পলিথিনের যুগ। আশপাশে খোলাবাজারে কোথাও ব্যাগ খুজে পাইনি। নিরুপায় হয়ে পলিথিন ব্যবহার করি।

বাজারের বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, সবজি, মুদি আইটেম তারা ব্যাগে করেই নিতে চান। তবে বাজারে ব্যাগ না পাওয়ায় অভিযোগ করেছেন তারা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের গঠিত মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক (অতিরিক্ত সচিব) তপন কুমার বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, আগামীকাল থেকে আমাদের মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট চলবে। আমরা বিকল্প রেখেছি। আমরা দোকানীদের সঙ্গে কথা বলবো। পাটের ব্যাগ কোথায় থেকে নিতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। এই ব্যাপারে এখন আর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com