মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

আরও বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯
  • ৩৩৪ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। আর এটি শুরু হয়েছে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। এ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৭ম বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোচনা সভার শুরুতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে ভারত সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দুদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য, ধর্ম নিরপেক্ষতা, উন্নয়ন সহযোগিতা ও অন্যান্য সব বিষয়ে গভীর মিল রয়েছে এবং দুই দেশের সুপ্রতিবেশিমূলক সম্পর্ক পৃথিবীর মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিরাপত্তা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ সকল বিষয়ে দুদেশ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে তারা সভায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এ উদ্দেশ্যে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশের সীমানা বা ভূমি ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গি, ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ অন্য কোনো দেশের ক্ষতি সাধন করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার কথা দুই মন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদেরকে (রোহিঙ্গা) নিরাপদে ও দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবাসন সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ২০১৭ সাল থেকে চার কিস্তিতে ভারত সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহযোগিতা প্রদান করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা শেষে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।

সভায় ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলের অন্যরা হলেন-ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সোহাইল হোসেন খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহম্মেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুবকর সিদ্দীক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নীলিমা আক্তার, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. তারেক প্রমুখ।

ভারতের পক্ষে অন্যদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি, শ্রী নিত্যানন্দ রাই, ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব গৌভা ও সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) বি আর শর্মা প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com