বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ট্রেনে গুলির আপিল শুনানি গ্রহণ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯
  • ২৫৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে ভ্রমণের সময় ট্রেনে গুলি চালানোর মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৮ জনসহ মোট ৪৩ জনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল আবেদনের শুনানির বিষয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও সালমা সুলতানা সোমা।
চলতি মাসের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী ওই মামলায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। এ ছাড়া রায়ে ২৫ জনের যাবজ্জীবন, ১৩ জনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ৩ লাখ টাকা এবং ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এরপর গত ২১ জুলাই ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন আসামিরা।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৩২ জন আদালতে হাজির ছিলেন। পরে ১৪ জুলাই যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আরও ৭ জন আত্মসমর্পণ করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এ কে এম আক্তারুজ্জামান, মো. জাকারিয়া পিন্টু, মোখলেছুর রহমান বাবলু, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল, আজিজুর রহমান ফড়িং, শ্যামল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ ও শামসুল আলম। এর মধ্যে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ট্রেনে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুরের দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাকে বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের মুহূর্তে ওই ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। স্টেশনে যাত্রাবিরতি করলে আবারও ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওই সময়কার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।

এদিকে মামলা করার পর ওই বছর কোনো সাক্ষী না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য তা সিআইডিতে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) পাঠান। পরে তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com