নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যাপের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথ।
মোজাফফর আহমদের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিন ধরে তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের ছয়জন উপদেষ্টার একজন ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
জীবন সায়াহ্নে এসে বারিধারার পার্ক রোডে মেয়ের বাড়িতে থাকতেন তিনি। গত ১৪ আগস্ট অধ্যাপক মোজাফফরকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
প্রবীণ রাজনৈতিক অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মৃত্যুতে শোক ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মরহুমের পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এদিকে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মৃত্যুতে শোক ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
শোক বার্তায় তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে কিংবদন্তিতুল্য এ নেতার মৃত্যুতে দেশ হারালো একজন অভিভাবক রাজনীতিককে।
জীবনে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি মন্তব্য করে ন্যাপ নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবদানস্বরূপ সরকার ২০১৫ সালে তাকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করলেও তিনি সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেন। তার মতে, রাজনীতির অর্থ দেশ এবং মানুষের সেবা। পদ বা পদবির জন্য কখনও রাজনীতি করেননি তিনি। পদক দিলে বা নিলেই যে মানুষ সম্মানিত হয়, এ দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না।