কর্মস্থল নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুপস্থিত থেকে জেলা শহর মাইজদীর একটি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন ডা. ফৌজিয়া ফরিদ। খবর পেয়ে তার চেম্বারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রোববার দুপুরে দুদক নোয়াখালীর বিভাগীয় পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফৌজিয়া ফরিদ কর্মস্থলে না গিয়ে অফিস সময়ে মাইজদীর একটি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন। খবর পেয়ে দুদক কর্মকর্তারা ওই ডাক্তারের চেম্বারে অভিযান চালান। ওই ডাক্তারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
এ সময় তার দেয়া প্রেসক্রিপশনে দেখা যায়, তিনি সেখানে নিজেকে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ তার এমবিবিএস ব্যাতীত অন্য কোনো ডিগ্রি নেই। এছাড়া তিনি প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখেন বলে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেছেন ।
পরে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান ওই ডাক্তারের ডিউটি রোস্টার ও ডিজিটাল উপস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য সোনাইমুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে অন্যান্য ডাক্তারদের উপস্থিতিতেও অসঙ্গগতি দেখতে পান। এ সময় হাসপাতালের গোডাউন রেজিস্ট্রারে ওষুধ সরবরাহেও অব্যবস্থাপনা পাওয়া যায়।
দুদক নোয়াখালীর বিভাগীয় পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুদকের হট লাইনে অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তের পর প্রতিবেদন দেয়া হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডা. ফৌজিয়া ফরিদ ও সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।