ডেস্ক : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এএসআই আকতার হোসেনসহ তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
সোমবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঘোলপাশা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার ছোট বাতুয়া গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে এএসআই আকতার হোসেন (৪২), কভার্ডভ্যানের হেলপার লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার নন্দীগ্রামের ইসমাইল হোসেন বাবুলের ছেলে মো. সুমন (২৬) ও নোয়াখালীর সেনবাগ থানার নিজ সেনবাগ গ্রামের ছালেহ আহমদের ছেলে মো. ফাহাদ (২৬)।
গুরুতর আহতদের দুইজন হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেকার চালক স্বপন (২৮) ও তার ভাই হেলপার মামুন (১৬)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অপর দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোমবার ভোর সোয়া পাঁচটায় সৈয়দপুর এলাকায় চট্টগ্রামমুখী কভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের এএসআই আকতার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রেকারসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। যানজট ঠেকাতে তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনা কবলিত কভার্ডভ্যানটি সরাতে রেকারের মাধ্যমে কাজ শুরু করে। এ সময় অজ্ঞাতনামা দ্রুতগামী অপর একটি কভার্ডভ্যান ওই কভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
ধাক্কায় দুর্ঘটনা কবলিত কভার্ডভ্যান রেকারকে, রেকার সামনে থাকা পুলিশ পিকআপকে, পিকআপ সামনে দাঁড়ানো এএসআই আকতার হোসেনকে চাপা দিয়ে আরেকটি কভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই এএসআই আকতার হোসেন, প্রথম কভার্ডভ্যানের হেলপার সুমন নিহত ও অন্য গাড়ির হেলপার ফাহাদ, রেকার চালক স্বপন ও তার ভাই হেলপার মামুনসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে হেলপার ফাহাদের মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাইওয়ে পুলিশের এসপি নজরুল ইসলাম, এএসপি রহমত উল্যাহ ও সার্কেল আমিনুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।