অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: পাইরেটেড বই বন্ধ করে দেশের পুস্তক প্রকাশনা জগতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দেশের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা। গতকাল ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির রাজধানী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব বলেন।
তারা বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে পুরো দেশজুড়ে বই পাঠের সংস্কৃতি গড়ে তলতে হবে। দেশের পুস্তক প্রকাশক-বিক্রেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। দেশের প্রকাশনাশিল্প এবং বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও এর আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছে এই সংগঠনটি।
এই সমিতির রাজধানী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান হয়ে গেলো। নবনির্বাচিত এই কিমিটির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন সেন্টারে এই অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড কলকাতার প্রেসিডেন্ট ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।
সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমিতির সহ-সভাপতি ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এর চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শায়ক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।
কে এম খালিদ বলেন, মননশীল ও সৃজনশীল বই একটি জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একইভাবে একটি বিশ্বের সামনে একটি জাতির পরিচয় হয় সেদেশের শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্য। সে লক্ষ্যে বাংলা সাহিত্যকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে দেশে দেশে বাংলা বইয়ের মেলার আয়োজন করা হবে।