বিশেষ প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এক বিশেষ সতর্কতা বার্তায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত বিশেষ বার্তায় বলা হয়, শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর রয়েছে। প্রতারকচক্রের অনৈতিক প্রলোভনে সাড়া না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা যাচ্ছে।
আগামী ৪ অক্টোবর দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার দিন অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থীকে সকাল সাড়ে ৯টার আগে কেন্দ্রে প্রবেশপত্র এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং রিফিল দেখা যায় এমন কালো বলপেনসহ পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এবং ঘড়ি ও মোবাইলসহ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিশেষ বার্তা আরও বলা হয়, প্রতারকচক্রের কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোলরুমের টেলিফোন নম্বর (০২-৯৮৫৫৯৩৩) ও মোবাইল নম্বরে (০১৭৫৯-১১৪৪৮৮ এবং ০১৭৬৯-৯৫৪১৩৭) এবং নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়।
সার্বিকভাবে একটি পরিচ্ছন্ন ভর্তি পরীক্ষার সফল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য বলে বিশেষ বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। পরীক্ষার্থীদের গুজবে বিশ্বাস না করে, প্রতারণার জালে পা না দিয়ে নিবিড়ভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে নিজ যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য উপদেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। আবেদনপত্র গ্রহণ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট থেকে আজ (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৬১ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।