নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনো চলতে দেয়া হবে না। এসব জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনো পরিচালনা ক্ষেত্রে যতো প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকুক না কেন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে। র্যাব অভিযান শুরু করেছে পুলিশও করবে। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জুয়ার বোর্ড ও ক্যাসিনোর তালিকা করা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি এই সপ্তাহেই কমিশনার হিসেবে কাজ শুরু করেছি। যারা এই বিষয় দেখেন তাদের নির্দেশ দিয়েছি, কোথায় কী হচ্ছে, কারা পরিচালনা করছে তা তালিকা করে জানাতে। তারা কাজ করছেন। ইতোমধ্যে একটি জোনের তালিকা আমি পেয়েছি। অন্য জোনের তালিকাও করা হচ্ছে। র্যাব যেমন অভিযান শুরু করেছে তেমনি পুলিশের ভূমিকাও একই রকম। স্পষ্ট করে বলছি, রাজধানীর কোথাও জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো চলতে দেয়া হবে না।
জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনোর সাথে চলছে মাদক সেবন। সেখানে র্যাবের অভিযানে মাদকের উপস্থিতি দেখা গেছে। মাদক সেবনরত অবস্থাতেও অনেককে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে কমিশনার বলেন, ক্যাসিনোতে যারা জুয়া খেলতে আসে তারাই মাদক সেবন করছে। ক্যাসিনো যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেখানে মাদক সেবনও বন্ধ হবে। ক্যাসিনো বন্ধ করেও যদি কেউ মাদকের কারবার চালানোর চেষ্টা করে তবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীতে অনেক ডিজে পার্টি পার্টি হয়, সেখানে মাদক সেবনের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের আনাগোনাই বেশি। সে ব্যাপারে ডিএমপি কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, নির্মল বিনোদন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু সেখানে বিনোদনের নামে যদি অশালীন ও অবৈধ কিছু চলে, মাদক সেবন হয় তাহলে সেখানেও একই রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নজরদারিতে থাকবে।
ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার বোর্ড পরিচালনার সাথে জড়িত প্রভাবশালীরা। যিনি আটক হয়েছেন তিনি একটি প্রভাবশালী দলের নেতা। সেই দলের নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, এতোদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো কিছু করে নি, তাছাড়া এসব তো রাতারাতি গড়ে উঠে নি। জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিবে কিনা?
গতকালের অভিযান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার আটক হওয়ার পর সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রশ্ন তুলেছেন এতদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো কিছু করেনি, তাছাড়া এসব তো রাতারাতি গড়ে ওঠেনি। জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর। যে পর্যায়েই হোক না কেন। জোনাল ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি এ ধরনের ঘটনা মোটেও সহ্য করবো না। এরপরেও যদি কেউ জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো পরিচালনা করেন, জড়িত থাকে বলে জানতে পারি তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।