অনলাইন ডেস্ক: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে মন্তব্য করেছে কলকাতা থেকে প্রকাশিত গণমাধ্যমে। শনিবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্কারণে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাশালী দেশগুলোর নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
এছাড়া চীন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষ ত্রিপাক্ষিক আলোচনাতেও অংশ নেবেন তিনি।
খবরে বলা হয়, ‘দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা ৮ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী সব দিক দিয়েই এখন বাংলাদেশের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে মিলে তাঁদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দু’বার চেষ্টা করা হলেও এক জন শরণার্থীও দেশে ফিরতে চাননি। বাংলাদেশ এ জন্য মিয়ানমারের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আরব দেশগুলির পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কয়েকটি এনজিও-কে দায়ী করছে ।’
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ‘এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাশালী দেশগুলির নেতাদের যেমন দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়ায় ভারতও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাকে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সক্রিয় করতে চায় বাংলাদেশ। স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি তুলবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকেও।’
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।