অনলাইন ডেস্ক: ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই আলোচনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। অভিযানে ক্যাসিনোতে যুবলীগ নেতাদের সংশ্লিষ্টতা এবং কয়েকজন গ্রেফতারের পর সম্রাট নেতাকর্মীদের নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। ওই কার্যালয় ঘিরে শোডাউন দেন কয়েকশ কর্মী। কিন্তু সম্রাটকে গ্রেফতারের গুঞ্জন ওঠার পর থেকে সেই নেতাকর্মীরাও লাপাত্তা। ওই কার্যালয়ের সামনে এখন সুনসান নীরবতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই ভবনের সামনে শত শত কর্মীর যে আনাগোনা দেখা গিয়েছিল তার ভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় গতকাল শনিবার। সম্রাটকে যারা পাহারা দিয়ে রেখেছেন তাদের কাউকে দেখা যায়নি এদিন। ভবনটিতে দু-একজন নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া ভেতরে কেউ নেই।
সম্রাটের কার্যালয়ের সামনে সারাদিন কেউ স্থায়ীভাবে না থাকলেও আসা যাওয়ায় ছিলেন অনেকে। তবে তাদের আসার কারণ ছিল অস্পষ্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ভাই (সম্রাট) কোথায় আছে জানি না। আমরা তো এখানেই সারাক্ষণ পড়ে থাকি। ভাইয়ের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে আবার চলে যাই। কিন্তু এখন এখানে আছে কি না বলতে পারি না।
গতকাল এক অনুষ্ঠান শেষে সম্রাটকে গ্রেফতার করেছেন কি-না এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, যা ঘটে দেখবেন, আপনারা শিগগিরই দেখবেন। আপনারা অনেক কিছু বলছেন, আমরা যেটা বলছি ‘সম্রাট’ হোক যেই হোক অপরাধ করলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনবো। আমি এটা এখনও বলছি, সম্রাট বলে কথা না যে কেউ আইনের আওতায় আসবে। আপনারা সময় হলেই দেখবেন।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদ গ্রেফতার হওয়ার দুদিন পরেই গ্রেফতার হন যুবলীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা জি কে শামীম। এই দুই নেতার দেয়া নানা তথ্যে বেরিয়ে আসে ক্যাসিনোসহ অসংখ্য অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাদের নাম। এরই মাঝে সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলবের পাশাপাশি তার অ্যাকাউন্টটি জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে সম্রাটের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের কয়েকটি সংস্থা।