অনলাইন ডেস্ক: ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেশের বিভিন্ন কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ২০৩৮ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করেছে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, আগারগাঁও, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তিপত্র বিতরণ করা হয়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফজলে কবির অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তিপত্র বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ।
সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এ পর্যন্ত মোট ৫৯,৭৩৪ জন শিক্ষার্থী ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির সুযোগ পেয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষাস্তরের ১৬,৫০৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির সুযোগ গ্রহণ করছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ব্যাংকের অন্যান্য সামাজিক ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ধারাবাহিক সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের প্রশংসা করেন এবং এ বৃত্তি প্রকল্পকে দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন। দেশের অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের কল্যাণে এ ধরনের কর্মসূচী গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হয়ে দেশ গঠনে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবে-এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি ফজলে কবির সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গঠনে এই অনন্য চেষ্টার জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রশংসা করেন এবং এই উদ্যোগ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যখন দেখল অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তখনই ব্যাংক এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছিল। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক, ভৌগলিক এবং সামাজিক কারণে এই সব শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। মেধায় তাদের কমতি নেই, কিন্তু আর্থিক সংকটের জন্য মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে না তারা। তিনি আরো বলেন, এই অনুষ্ঠান ভবিষ্যতে তাদেরকে আরো ভাল কিছু করার প্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য তিনি সকল অতিথিকে ধন্যবাদ জানান।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল কাশেম শিরিন বৃত্তিপ্রাপ্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান এবং আগত সম্মানিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।