অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে স্ট্যাটাস দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পাওয়া যায়নি। পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজার হাজার লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার হয়ে যায়।
এ বিষয়ে আবরার ফায়াজ গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নিজেই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছেন।
তবে কেন বন্ধ করে রেখেছেন? জানতে চাইলে ফায়াজ বলেন, সেটা বলা যাবে না।
তবে কোনো চাপের কারণে বন্ধ করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে এখন কোনো উত্তর দিতে চাননি।
বুধবার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবিকে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটে জানাজা শেষ করতে বলেন কীভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে আপনার আর এক ছেলে ঢাকা থাকে আপনি কি চান তার ক্ষতি হোক….. গ্রামে বলা হয়েছে কেউ কিছু করলে ১ সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে। বিচার চাই…আমি বিচার চাই….. নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা-মা কষ্ট একবারে পাবে।
রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আবরার হত্যার ঘটনায় গতকাল গ্রেফতার ১০ আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।