সিটিজেন ডেস্ক: চলতি বছরের ডিসেম্বরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের রাজধানী দোহায় তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশি পণ্যের একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দোহা এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে আগামী ১১-১২ ডিসেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ-২০১৯’ শীর্ষক এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ফোরাম কাতারের (বিএফকিউ) প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ইফতেখার আহমেদ।
বাংলাদেশি পণ্য ও পরিষেবাদি প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিএফকিউ এবং কাতার ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার (কিউএফসি) দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে এই পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বলে তিনি জানান।
বিএফকিউ প্রেসিডেন্ট ইফতেখার আহমেদ বলেন, এই প্রদর্শনী বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে পণ্য ও পরিষেবাদি প্রদর্শন করার সুযোগ প্রদান করবে। প্রদর্শনীতে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অংশীদারত্ব গড়ার সুযোগ করে দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কৃষি, সিমেন্ট, সিরামিক, ফ্যাশন আউটলেট, মৎস্য, মাংস, খাদ্য ও পানীয়, আসবাবপত্র, চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যাল, প্লাস্টিক, রিয়েল এস্টেট, স্কুল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, জাহাজ নির্মাণ, টেক্সটাইল, টয়লেটরিজ তাদের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, কাতার বিশ্বের ধনী দেশগুলোর একটি। সৌদি, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশ দ্বারা অবরোধ সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে পণ্য ও পরিষেবাগুলো সরবরাহের জন্য কাতারে সে সংকট কাটিয়ে উঠেছে। কাতারের বাজারের সুবিধা নিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ের জন্য এটা বিরাট একটি সুযোগ।
বিএফকিউ সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বলেন, প্রায় চার লাখ অনাবাসী বাংলাদেশি কাতারের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, যা সেখানে বাংলাদেশি বাজার তৈরি করতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য কাতারের সঙ্গে শুরু হওয়া উপসাগর অঞ্চলের বিশাল সুযোগের মধ্যে প্রবেশের এক-একটি উচ্চ সময়। এটি শুধু বাংলাদেশ-কাতার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে না, বরং কাতারও বাংলাদেশের অংশীদার হবে।
ইপিবির যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো মনে করে বাংলাদেশ মানেই শ্রমিকদের দেশ। বর্তমান বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে সে ধারণা তাদের নেই। আমাদের যেসব নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে তা আমরা তাদেরকে স্পষ্ট করে দেখাতে পারিনি। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে নতুন এক বাংলাদেশকে কাতার তথা মধ্যপ্রাচ্যে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সস্তা শ্রম, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নানা সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। যা দিয়ে কাতারের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব।