অনলাইন ডেস্ক, সিটিজেন নিউজ: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বিপদ কেটে যাওয়া এবং জানমালের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী কর্মব্যস্ত সময়ের মধ্যেও ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি এবং তা মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখেন।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন। সভায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর দুর্যোগ মোকাবেলায় গৃহীত প্রস্তুতির বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ দুর্বল হয়ে শনিবার সকালে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এটি স্থলপথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের যশোর-সাতক্ষীরা জেলা অতিক্রমের সময় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।
দুর্বল হয়ে পড়ায় ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এজন্য লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন বলে জানান নজিবুর রহমান।
এর আগে ফণীর আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতেরও আয়োজন করা হয়।
সভায় দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসার জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এসব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো, বিশেষ করে সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতার প্রশংসা করা হয়। এছাড়া, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গৃহীত কার্যক্রমেরও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
সভায় বিশ্বপরিমণ্ডলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল হিসেবে খ্যাত যেকোনো দুর্যোগকালে বাংলাদেশ সরকারের সব সংস্থার সমন্বিতভাবে কাজ করার যে কৃষ্টি তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় করতে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে জাতির যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।