নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেছেন, বারবার রাজপথে আমরা আন্দোলন চাই না। যারা ধর্ম অবমাননা করবে, রাসুলকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করবে, তাদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করতে হবে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ভোলার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও রাসূলকে (সা.) কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখা ওই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিক্ষোভপূর্বক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর দক্ষিণ সভাপতি মানসুর আহমদ সাকী।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘ভোলায় তৌহিদী জনতার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে বিচারহীন হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে। তাই দ্রুত হত্যাকারী প্রশাসনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, গুলিবিদ্ধদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে যুব সমাজ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর সরকার প্রধান যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে তৌহিদী জনতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি হত্যাকারী ও নবীর দুশমনদের পক্ষালম্বন করেছেন।’
আরও বক্তব্য দেন- ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নেছারউদ্দীন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মো. নুর-উন-নবী, হোসাইন মো. কাওছার বাঙালি, মাহবুব আলম, মোহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, মল্লিক ইশতিয়াক মো. আল-আমিন, মুফতি শরীফুল ইসলাম, নগর উত্তর সভাপতি মুফতি আবু তালহা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম মসজিদে থেকে বেরিয়ে আশপাশ এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
ভোলার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও রাসূল সা.-কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে একইভাবে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল বের করে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখা।