নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৩০ অক্টোম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
এদিন তৃতীয় দিনের মতো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবিরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষ হওয়ায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের মতো সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। ওইদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। ওইদিন জেরা শেষ না হওয়ায় গত ২৪ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।গত ২৪ অক্টোবর জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য আজ ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গত ১৭ অক্টোবর তিনি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। এ মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। পরে ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। একই বছর ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
হলি আর্টিসানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত পাঁচ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এছাড়া এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।