নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ২০০ শিক্ষক নিয়োগ, এমপিও প্রদান ও ফান্ডের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ তুলে রাজধানীর মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আওলাদ হোসেন ও অধ্যক্ষ সেলিনা শামসীর অপসারণ চেয়েছেন স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এ অপসারণ চাওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক শুকদেব ঢালী, গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য জাকির হোসেন, স্কুলের সাবেক কর্মকর্তা এম হাসান বক্তব্য রাখেন। এ সময় কিছু অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আওলাদ হোসেন কলেজ ফান্ডের গচ্ছিত টাকা লুটপাট করে নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সভাপতি টাকার বিনিময়ে ২০০ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে সব শিক্ষকদের হয়রানি করেন। তাদের কথা না শুনলে প্রতিষ্ঠানটিতে টর্চার সেল হিসেবে খ্যাত একটি কক্ষে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত ও মামলা হামলার মতো ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন।
গভর্নিং বাডির সাবেক সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘এসব লুটপাটের প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে ক্যাসিনো খালেদ বাহিনী দিয়ে আমার ওপর দুবার হামলা চালান। ভয়ে আমি এলাকা ছেড়ে দিয়েছি। এতদিন তাদের ভয়ে এলাকায় ঢুকতে না পারলেও সরকারের অভিযানে তারা এখন গাঢাকা দেয়ায় আমি এর প্রতিবাদ করতে এসেছি।’
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হলে আওলাদ গংয়ের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ) আলাদা তদন্ত করে আওলাদের এসব অনিয়মের প্রমাণ পায়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সভাপতির কোনো শাস্তি হয়নি।