ক্রীড়া ডেস্ক: ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরও দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার বড় শাস্তি পেতে হলো সাকিব আল হাসানকে। তার অপরাধ ছিল, জুয়াড়িদের সেই প্রস্তাবের কথা তিনি তাৎক্ষণিক আইসিসির সংশ্লিষ্ট দফতরে জানাননি।
সাকিবের বিরুদ্ধে আইসিসি যে তিনটি অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে একটি রয়েছে আইপিএল-সংক্রান্ত। গত বছর আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যকার ম্যাচের সময় জুয়াড়ি দিপক আগরওয়ালের কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব।
ভারতীয় ক্রিকেট এবং আইপিএল সংশ্লিষ্ট অভিযোগ হওয়ার কারণে, অনেকেই মনে করছিলেন, সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে আইসিসির তদন্ত এবং এ নিষেধাজ্ঞার শাস্তির পেছনে সম্ভবত ভারতেরও কোনো ভূমিকা থাকতে পারে।
এ বিষয়টা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট। সংস্থাটির প্রধান অজিৎ সিং আজ মিডিয়াকে বলেন, এখানে বিসিসিআইয়ের ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগই ছিল না। বিষয়টা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে আইসিসি অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) দেখেছে। তারা তদন্ত করেছে এবং শাস্তি ঘোষণা করেছে।
আইপিএলের ম্যাচের একটি বিষয় থাকার কারণেই মূলত বিসিসিআইর প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ বিষয়ে অজিৎ সিং জানান, বিষয়টা পরিপূর্ণভাবে আইসিসিই সামলেছে। কারণ, ওই সময় আইপিএলে দুর্নীতির বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব ছিল আইসিসির। আমাদের নয়।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘আইপিএলের যে মৌসুমের ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, সে মৌসুমের সব দুর্নীতিবিরোধী বিষয় আইসিসিই দেখভাল করেছে। কোনো অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে আইসিসিই কাজ করেছে, তদন্ত করেছে। এর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
তবে অন্যসব মৌসুমের মতো ২০১৮ সালেও দুর্নীতিবিষয়ক বিভিন্ন অভিযোগের ক্ষেত্রে আইসিসিকে সব তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সহায়তা করেছে বিসিসিআই। অজিৎ সিং বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আমাদের তরফ থেকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছি আইসিসিকে, কিন্তু এ বিষয়ে পুরো তদন্তটাই আইসিসি করেছে। বিসিসিআই নয়।’