আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দেশের আট জেলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে আঘাত হানার পর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেন থমকে দাঁড়ায়। তবে তিন দিন পর আজ জনজীবন অনেকটা স্বাভাবিক। সূর্যের দেখা মিলেছে।
এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলোর নাম দেয়ার রীতি শুরু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করে। এই আঞ্চলিক কমিটিকে সেই অঞ্চলের সদস্য দেশগুলো ঝড়ের বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে। ভারত মহাসাগরে হওয়া সমস্ত ঝড়ের ক্ষেত্রে এই নামকরণের দায়িত্ব বর্তায় ৮টি দেশের ওপর।
ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা-এই দেশগুলো পালা করে ঝড়গুলোর নামকরণ করে। সেই ক্রমে বুলবুলের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। আর এর পরের ঝড়টির নাম হতে চলেছে ‘পবন’। এই নামকরণটি করেছে শ্রীলঙ্কা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ানইন্ডিয়া জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ আগে থেকেই করা থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের সম্ভাব্য ঝড়গুলোর জন্য সদস্য দেশগুলো পূর্বেই বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে রাখে। যখন ঝড় সৃষ্টি হয় তখন ওই তালিকা থেকে নামগুলো ব্যবহার করা হয়।
জানা যায়, এই নামগুলো কখনই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা হয় না। এমনই কিছু ঝড়ের নাম এবং প্রস্তাবিত দেশের নাম দেওয়া হলো- ফণি (বাংলাদেশ), সিডর (ওমান), নার্গিস (পাকিস্তান), বিজলি (ভারত), আয়লা (মালদ্বীপ), রেশমি (শ্রীলঙ্কা), খাই-মুক ( থাইল্যান্ড)।