নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে তিনজনের অপমৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) বাড্ডা, মহাখালী ও খিলগাঁও এলাকায় এসব অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি অপমৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর বাড্ডা সাহাবুদ্দিন মোড়ের একটি বাসায় দুপুর ১টার দিকে বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রানা (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মৃত রানা ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করতো। দুপুরে কবরস্থান রোডের শাহাবুদ্দিন মোড়ে দ্বিতীয় বাসার উপরে টিনশেড বাসায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীরে আগুন লাগে এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। তার বাবার নাম শামছুল মিয়া। থাকতো হাতিরঝিল এলাকায় বলে জানান ওসি।
এছাড়া দুপুর ২টায় মহাখালীর একটি আবাসিক হোটেলে লিফটের চাপায় ওমর ফারুক (৩৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
মৃত ফারুকের চাচাশ্বশুর সাইফুর রহমান জানান, ফারুক মাগুরার মোহাম্মাদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। সে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন এবং বিএম এনার্জি বি লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার ছিলেন।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল (১৮ নভেম্বর) স্ত্রী রেশমার ঢাকায় একটা চাকরির ইন্টারভিউ ছিল। সে কারণেই আজ সকালে মহাখালীর শাহিন ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলের পাঁচ তলার একটি কক্ষে ওঠে। সেখানে দুপুরে লিফটে ওঠার সময় চাপা পড়ে গুরুতর আহত হলে প্রথমে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর খিলগাঁও নন্দিপাড়া এলাকার পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় একদিন বয়সের ছেলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদিকুল ইসলাম জানান, সকালে পশ্চিম নন্দিপাড়া তিতাস রোডের শহিদুলের মাছের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আনুমানিক বয়স একদিন। নবজাতকটি ছেলে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো সময় কে বা কারা মৃত অবস্থায় পুকুরে নবজাতকটি ফেলে যায়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।