অনলাইন ডেস্ক: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। গণমাধ্যম আজ সত্য প্রকাশে উন্মুক্ত। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার, জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে গণমাধ্যমকে এ সরকার সর্বত্র সহযোগিতা করছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম এবং ফটোগ্রাফি ডিপার্টমেন্টের স্টুডিওতে বিজেসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিভি ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ‘ফেক নিউজ বনাম সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেক নিউজ কেন হয়? হয় কারণ সমাজে রয়েছে প্রচুর ফেক সম্পাদক, ফেক সাংবাদিক, ফেক রাজনীতিক। সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক বা সম্পাদক হিসেবে তার দায়িত্ব একটি, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়া।
তিনি বলেন, সংবাদ শাস্ত্রের ধ্রুপদী চরিত্রের সঙ্গে ‘ফেক নিউজ’ বৈশিষ্ট্যটি সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ে। কেননা, নিউজ মাত্রই তা বস্তুনিষ্ঠ হতে বাধ্য। বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক বাস্তবতার বিচারে বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার অনেক বেশি।
সাংবাদিকদের আদর্শ-নৈতিকতা, সংবাদ মাধ্যমের মালিকপক্ষ-সরকার সম্পর্ক ও জনমনে প্রভাবসহ আরও বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক হিসেবে, সাংবাদিকতার এথিকসের জায়গা থেকে আমাদের কাজ হলো আমাদের কাজটুকু (বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন) ঠিক মতো করা। অনেক সাংবাদিক এ প্রতিশ্রুতি রাখছেন না। গোষ্ঠী স্বার্থ ভিডিও টেম্পারিংয়ের মতো নিকৃষ্ট কাজ করে বেইমানি করছে জাতির সঙ্গে।
তিনি বলেন, ভুয়া সংবাদ, গুজব, মিথ্যাচার সংবাদ পাওয়া মাত্রই সরকারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব গুজব, মিথ্যাচার এবং অসত্য সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই সরকার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় গুজব প্রতিরোধে মনিটরিং সেল কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা, গুজব নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অপারেট করবে। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে একটা আইনি ফ্রেমে আনার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার।
সেমিনারে বিভিন্ন মিডিয়ার প্রথিতযশা সাংবাদিক তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত উপস্থাপন করেন।