জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জানুয়ারি মাসে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা নিলেও এর বিরোধিতা করছেন নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা। এসব ওয়ার্ডে ভোট না করতে ইসিতে আবেদন করেছেন তারা। তাদের দাবি নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ এলাকার উন্নয়নের জন্য এক বছরও সময় পাননি। অথচ একজন কাউন্সিলর পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানায়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সম্প্রসারিত ৩৬ ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়। এখন চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি অথবা শেষে মেয়র পদের সঙ্গে সব ওয়ার্ডে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। কিন্তু এর বিরোধিতা করে গতকাল সোমবার কাউন্সিলরা ইসিতে চিঠি দেন। নির্বাচন কমিশন এর সুরাহা না করলে তারা উচ্চ আদালতেও যাবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আজ (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটি পরিষদ। পরিষদ ভেঙে দিলে পুরোটা দিতে হয়। নতুন সম্প্রসারিত ওয়ার্ডগুলো সিটি কর্পোরেশনের অংশ। মেয়র নির্বাচনে এ ওয়ার্ডগুলো ছাড়া নির্বাচন কীভাবে হবে। সে ক্ষেত্রে একসঙ্গে নির্বাচন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভোট করার জন্য ইসিকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে চিঠি দিয়েছে। আইন অনুযায়ী ইসি ভোট করতে পারবে এতে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ১৭ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটির দিনগণনা শুরু হয়েছে। কাল বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটির দিনগণনা শুরু হবে।