অনলাইন ডেস্ক: সৌদি আরব সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) জেনারেল ফায়াদ বিন হামিদ আল-রুওয়াইলি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, রিয়াদ এই ইস্যুতে সবসময়ই ঢাকার পাশে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন সৌদি সিজিএস।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চমৎকার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে জেনারেল ফায়াদ বলেন, দিন দিন এই সহযোগিতা বাড়ছে।
সৌদি সিজিএস বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) প্রদত্ত প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এনডিসির প্রশিক্ষণের মান অত্যন্ত উন্নত এবং আমরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে চাই।
জেনারেল ফায়াদ ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা আগ্রাসনে যেতে চাই না, আমরা শান্তি চাই। তিনি সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের দ্বন্দ্বের অবসান করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বন্দ্বের কারণে এই সুবিধাটি অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছে যায়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে উসকানি দেয়া হয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং সৌদি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং সরঞ্জাম সহায়তা বিশেষ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সহায়তা বহুমাত্রিক।
সন্ত্রসবাদ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে নিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সচেতনতা তৈরি করছে।
জেনারেল ফায়াদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার দেশের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।