আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লোকসভায় দাঁড়িয়ে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে বসেন ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা। সাধ্বীর এমন মন্তব্যের পর তাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এদিকে ওই মন্তব্যের পর শাস্তিুর মুখে পড়তে হয়েছে প্রজ্ঞাকে। তাকে লোকসভার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। নিজ দল বিজেপি থেকেই প্রজ্ঞার নিন্দাও করা হয়েছে। বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, ‘সংসদে করা ওই মন্তব্য নিন্দনীয়। বিজেপি কখনও এ ধরণের বিবৃতি বা মতাদর্শকে সমর্থন করে না। লোকসভার চলতি অধিবেশনে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকগুলোতে প্রজ্ঞাকে উপস্থিত থাকতে নিষেধ করা হয়েছে।’
ক্ষুব্ধ রাহুল এক টুইটে লিখেছেন- ‘সন্ত্রাসবাদী প্রজ্ঞা দেশপ্রেমী বানিয়ে দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদী গডসেকে। ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এটা বড়ই দুঃখের দিন।’
রাহুল গান্ধী বলেন, সাধ্বী প্রজ্ঞার ওই মন্তব্য আদতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মনের কথা। বিজেপির অন্তরের কথা। প্রজ্ঞা যা বলেছেন আরএসএস ঠিক সেটাই মনে করে। বিজেপিও বিশ্বাসী সেই একই মতাদর্শে।
সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে বহুলালোচিত মালেগাঁও বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সাবেক ইউপিএ সরকারের আমলে মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার হন সাধ্বী প্রজ্ঞা। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালানোর ঘটনাকে সেই সময় ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’বলে চিহ্নিত করা হয়। জামিনে মুক্ত থাকা প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বিগত লোকসভা নির্বাচনে ভূপাল থেকে বিজেপি এমপি নির্বাচনে প্রার্থী করে এবং তিনি জয়ী হন।
এদিকে, লোকসভায় বিজেপি এমপি প্রজ্ঞার বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তাদের সহযোগী দল তার বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রজ্ঞার বক্তব্য সম্পর্কে সংসদে ক্ষমতাসীন দল যে সাফাই দিয়েছে তাতে বিরোধীদলগুলো সন্তুষ্ট নয়। সেজন্য প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।