অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ চার দিনের সরকারি সফরে মিয়ানমার গেছেন । রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
সফরকালে তিনি মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর উপ-প্রধান ও সেনাবাহিনী প্রধান ভাইস সিনিয়র জেনারেল সো উইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সাক্ষাতে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ বিনিময়, শুভেচ্ছা সফর ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করবেন।
পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণ এবং মিয়ানমার কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইন ও আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) স্থাপন সম্পর্কেও আলোচনা হতে পারে।
জেনারেল আজিজ আহমেদ মিয়ানমারে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, সামরিক জাদুঘরসহ একাধিক সামরিক/অসামরিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন সেনাপ্রধান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্তমানে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়ন যাচ্ছে। নির্যাতন ও নিপীড়নের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে তাড়িয়ে দেয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করলেও গত দুই বছরেও ফেরত যায়নি তারা। এদিকে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে মিয়ানমার।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সেনাপ্রধানের এ সফর দুই দেশের মঙ্গল বয়ে আনবে।
সেনাপ্রধান নিজেও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যই মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন তিনি।
গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ সফরে প্রশিক্ষণসহ দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য বিষয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো তা নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের সম্পর্ক যে অবস্থায় আছে তা আরও ভালো করার জন্য আমরা আলোচনা করব। কারণ যত এনগেজমেন্ট বেশি হবে তত সম্পর্ক ভালো হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, আলোচনায় প্রসঙ্গক্রমে রোহিঙ্গা ইস্যু আসবে। এগুলো নিয়ে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হবে।